এভারকেয়ারের সামনে নিরাপত্তা জোরদার, আসছেন নেতা-কর্মীরা
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল সোমবারের চেয়ে আজ মঙ্গলবার হাসপাতালের সামনে বেশি নিরাপত্তা দেখা গেছে।
এই হাসপাতালে ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁকে একনজর দেখতে আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন।
সকাল নয়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কিছু নেতা-কর্মী হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছেন। সময় যত গড়াচ্ছিল, নেতা-কর্মীদের ভিড় তত বাড়ছিল।
হাসপাতালের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র্যাবের বেশ কিছু সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
গতকাল পর্যন্ত হাসপাতাল সামনে ব্যারিকেড ছিল না।
ঘটনাস্থলে কথা হয় সহকারী পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন। এখনে পুলিশের প্রায় ৫০ জন সদস্য আছেন।
হাসপাতালের সামনে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে দেখার সুযোগ হয়তো পাবেন না, তা জেনেও তাঁরা এখানে এসেছেন। তাঁরা অন্তত সশরীর এসে তাঁর একটু খোঁজখবর নিতে পারবেন, এ জন্য এখানে আসা।
বরিশালের উজিরপুর থেকে এসেছেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেখতে পাব না, তবু এলাম। মনটা হালকা লাগবে ভেবে। ছোটবেলা থেকেই খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা আছে। আমি বিএনপির কোনো পদে নেই। পদ চাইনি কখনো। তবে খালেদা জিয়াকে আমি মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। তিনি সুস্থ হবেন, এটাই প্রত্যাশা।’
সোহেলী পারভিন শিখা এসেছেন রাজধানীর উত্তরা থেকে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, ‘এত দিন আসিনি, কারণ নিয়মিত খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল। গতকাল থেকে হঠাৎ ম্যাডামের বিষয়ে তেমন কোনো খোঁজখবর না পেয়ে কিছুটা আতঙ্কিত হই। তাই খোঁজ নিতে ছুটে এসেছি।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়াকে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।