পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে ব্যবহারের দাবি বাম জোটের

বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে অথচ কিছু মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ছে। ক্ষমতাসীনদের আনুকূল্য ছাড়া সৎ আয়ে এভাবে টাকার পাহাড় গড়া সম্ভব নয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ, খেলাপি ঋণ-পাচারের টাকা আদায়সহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, উৎপাদন ও ক্রেতার স্বার্থ-সংরক্ষণ করতে সারা দেশে ‘উৎপাদক ও ক্রেতা’ সমবায় চালু, সহজ ও চাঁদাবাজমুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায় করে ও বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত এনে জনস্বার্থে কাজে লাগানো এবং ঘটনার নেপথ্যের হোতাদের খুঁজে বের করারও দাবি জানান তারা।

দেশের পাটকলসহ রাষ্ট্রীয় খাতকে বেসরকারি মালিকানায় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বাম জোটের নেতারা বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকারি সম্পদ ভাগবাঁটোয়ারার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেনের (প্রিন্স) সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) খালেকুজ্জামান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী। সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী সাজ্জাদ জহির।

সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন, দৈনিক বাংলা, বক্স কালভার্ট রোড, বিজয়নগর হয়ে পুরানো পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।