হুমকি-ধমকি দিয়ে সমাবেশ বন্ধ করা যাবে না বলে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন এখনো শুরুই হয়নি। তারপরও কী পরিমাণ বাধার সৃষ্টি করছে। যতই হুমকি-ধমকি দিক কাজ হবে না। আগামী সমাবেশ সফল হবে।
দেশে হাহাকার চলছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই, অর্থনীতি ধ্বংসের কিনারায়, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, মধ্যবিত্তরা গরিব হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারকে গণতন্ত্র হত্যাকারী দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারীরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারে না। যারা লুটপাট করে, পাচার করে অর্থনীতিকে এই (বর্তমান) অবস্থায় নিয়ে গেছে, তাদের পক্ষে এই অর্থনীতি মেরামত করা সম্ভব নয়। সারা বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
সমাবেশের মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের সময় শেষ, পতন আমরাই দেখে যাব।’
সারা দেশে সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করে পারেনি। এখন ঢাকার সমাবেশ কীভাবে নষ্ট করা যায় সেই চেষ্টা করছে।’আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আলোচনা সভাটির আয়োজন করে। বিএনপি ঘোষিত ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশটি বাংলার মাটিতে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হবে বলে সভায় দাবি করেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি আরও বড় সমাবেশ করতে চাইলে করেন, কিন্তু বাধা (বিএনপির সমাবেশে) দিতে যাবেন না। এটি দেশের জন্য ভালো হবে না।’
বিএনপির নেতা-কর্মীরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত বলে দাবি করেন দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত, মরলেও রাজপথ ছাড়ব না।’ বিএনপির আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করে পারেনি। এখন ঢাকার সমাবেশ কীভাবে নষ্ট করা যায় সেই চেষ্টা করছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যখন নেমেছি, লাশ হয়ে ফিরব, আপনাকে (শেখ হাসিনা) আর ক্ষমতায় রখব না।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান।