অসুস্থ খন্দকার মোশাররফের বাসায় মির্জা ফখরুল

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেখতে তাঁর বাসায় গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার সন্ধ্যায় খন্দকার মোশাররফের গুলশানের বাসায় যান মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খন্দকার মোশাররফের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।

প্রায় ১০ মাস ধরে খন্দকার মোশাররফ অসুস্থ। গত বছরের ১৭ জুন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। দুই মাসের বেশি সময় চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরেন। আবার অসুস্থ হলে ৫ ডিসেম্বর তাঁকে আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে খন্দকার মোশাররফকে গত ২১ জানুয়ারি আবার সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর ব্রেনে টিউমার ধরা পড়ে। গত ২৭ জানুয়ারি হয় অস্ত্রোপচার। এরপর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকে বাসায় আছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলামও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তিনি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। সাক্ষাতে খন্দকার মোশাররফও তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

রফিকুল ইসলাম মিয়া হাসপাতালে

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রফিকুল ইসলাম মিয়াও অসুস্থ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার দুপুরে তাঁকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম মিয়ার একান্ত সহকারী মোকছেদুর রহমান। বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বুধবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় তিনি তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

রফিকুল ইসলাম মিয়া কুমিল্লা-৩ আসন থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ধানের শীষ প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ২০১৮ সালে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি রাজনীতি এবং আইন পেশায় সক্রিয় নেই। এই সময়ে দলীয় কোনো কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা যায়নি।