খালেদা জিয়ার দৃঢ়তা না থাকলে দেশ আরও আগেই ভারতের দখলে চলে যেত: জামায়াত নেতা তাহের

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের। ১ ডিসেম্বর, ২০২৫; রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালেছবি: জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্যে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ আরও আগে ‘ভারতের দখলে’ চলে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সাক্ষী দিতে পারি, বেগম জিয়া একান্তভাবেই একজন দেশপ্রেমিক নেত্রী ছিলেন, গণতান্ত্রিক নেত্রী ছিলেন। বিগত ১৫ বছর দেশটা যেভাবে ভারতীয় দখলে গিয়েছিল, তার অনেক আগেই চলে যেতে পারত। ওনার আপসহীন রাজনীতি ও দৃঢ়তার কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।’

হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা শেষে আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী এস এম খালিদুজ্জামানসহ অন্য নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান আজ দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া ‘খুব ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে’ চলে গেছেন।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আজকে উনি (খালেদা জিয়া) কোনো দলের নেত্রী নন। উনি সমগ্র মানুষের নেত্রী। ওনার প্রতি আবেগ–ভালোবাসা আমাদের আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, আরোগ্য কামনা করছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেক প্রোগ্রাম দিয়েছি। আমি আবারও জামায়াতের পক্ষ থেকে আল্লাহর কাছে ওনার সুস্থতা কামনা করছি।’

আগামী নির্বাচনের জন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে আরও বেশি ঐক্য প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসী এবং রাজনৈতিক দল সবার প্রতি আহ্বান জানাব, আমরা আগামী দিনে আরও অনেক ধৈর্যের সাথে, প্রজ্ঞার সাথে দেশকে প্রাধান্য দিয়ে যেন আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন।’

নিজের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তাঁর হার্টে ‘ব্লক’ ছিল। চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। ব্লক অপসারণের জন্য স্টেন্টিং করা হয়েছে। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ অবস্থায় বাসায় যাচ্ছেন। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, আরও কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে।