মানুষের আগ্রহ আছে, ভোট পড়া নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। তাই নির্বাচনে ভোট পড়া নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলকে এ কথা বলেছে আওয়ামী লীগ।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ইইউর নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির নেতারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিকেল চারটা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও রেবেকা কক্স। অপর দিকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও ছিলেন দলটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, তথ্য সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেওয়ার চেয়ে বেশি শুনেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনের প্রস্তুতি, বিএনপির ভোট বর্জন, নির্বাচন ঠেকাতে দলটির আন্দোলন, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ভোটের পর বিরোধী দলের আসনে কে বসবে—এমন নানা বিষয়ে জানতে চেয়েছেন ইইউ প্রতিনিধিরা।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগের সদস্যরাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন কি না, তা জানতে চেয়েছে ইইউ প্রতিনিধিদল। তাদের বলা হয়েছে, এই তথ্য ঠিক নয়। বাইরের অনেকেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। অনেকে বিএনপি থেকে এসেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। বেশির ভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের, তবে সবাই নন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটা কথা বলেছি যে নির্বাচনের টার্ন আউট (ভোট পড়া) সন্তোষজনক হবে। এ নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ আছে। সারা বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে টার্ন আউট নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন করা একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।’

বাংলাদেশের নির্বাচনের চেয়ে ইউক্রেন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি নিয়ে ইইউসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মাথাব্যথা বেশি বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের এখন মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে। মাথাব্যথাটা ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি নিয়ে।

আসন্ন নির্বাচনকে ‘আসন ভাগাভাগির নির্বাচন’ বলে বিএনপি যে মন্তব্য করেছে, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি ভাগাভাগি বলবেই। কারণ, তারা নিজেরাই তো ভুয়া হয়ে গেছে। খেলার মাঠের ভুয়া হয়ে গেছে। ভুয়ারা কত কথাই বলবে।’

দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা কাজ করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা উন্মুক্ত। সেই অধিকার তাঁদের দেওয়া হয়েছে। যিনি স্বতন্ত্র তিনি আওয়ামী লীগার। তাঁর সঙ্গে অন্য আওয়ামী লীগাররা কাজ করলে দোষের কিছু আছে বলে বলা হয়নি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, টিআইবি হলো বিএনপির শাখা সংগঠন। বিএনপি যা বলে, টিআইবি তা বলে। টিআইবি যা বলে, বিএনপি তা বলে।