আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত করে: আবদুল্লাহ আল নোমান

আবদুল্লাহ আল নোমান
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগ কখনোই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ন্ত্রিত চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তারা যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব অভিযোগ আনেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। এ সমাবেশের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ।

আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সহ্য করতে পারে না বলেও অভিযোগ তোলেন আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, তারা স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় গিয়ে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে সবাইকে বাকশালে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল।

এখন আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করছে নতুন আঙ্গিকে। সে কারণে তারা সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালাচ্ছে এবং হুমকির সর্বগ্রাসী কর্তৃত্ব কায়েম করেছে।

সরকারের সমালোচনা করলে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান। সমাবেশে তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে সব গণমাধ্যমের কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই তাঁরা এখন সত্য তুলে ধরতে পারছেন না। তাঁদের এখন সেলফ সেন্সরশিপ করতে হচ্ছে।

সাংবাদিকেরা খুনের শিকার হয়েও বিচার পাচ্ছেন না উল্লেখ করে শামসুজ্জামান বলেন, বর্তমান সরকারের অধীন গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই, তা আবারও প্রমাণিত হলো দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিলের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী দলের মুখপত্র হিসেবে দিনকাল ভূমিকা রেখে আসছিল। এটি বন্ধ করা সরকারের চরম হিংসা চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ।

সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুৎ, জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে নিঃসংকোচে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক দিনকাল সরকারের রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার হয়েছে বলেও মনে করেন শামসুজ্জামান।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে গণমাধ্যম আছে, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের তথ্য যাতে প্রকাশ করা না যায়, সে জন্য একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন আগেই ১৯১টি অনলাইন বন্ধ করেছে সরকার।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।