শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াছবি: তারেক রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ শুক্রবার লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে ও মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে খালেদা জিয়া আগামী রোববার লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।

কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি ত্রুটির কারণে না আসায় খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা পিছিয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় বিএনপির মিডিয়া সেল তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানিয়েছে।

ফেসবুক পেজে বিএনপি জানায়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখনো না পৌঁছানোয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রক্রিয়াটি কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে।

ওই পেজে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শুক্রবার আসছে না। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটি শনিবার পৌঁছাতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে, তাহলে ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’

আরও পড়ুন

গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। আজ শুক্রবার তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার কথা ছিল।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রথম আলোকে জানান, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। অর্থাৎ, আগে যা ছিল, সে অবস্থাতেই আছেন।’

আরও পড়ুন

এদিকে চিকিৎসার জন্য শাশুড়িকে লন্ডনে নিতে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরে জুবাইদা রহমানের ফ্লাইট লন্ডন ছেড়েছে।

১২ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারি মাসে লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। দেশে ফিরেও তিনি বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।