বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি রোধে দিকনির্দেশনা নেই: বাম গণতান্ত্রিক জোট

প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ও ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেট বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা বলছে, এই বাজেটে আর্থিক খাতের সংকট নিরসনে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি রোধেও কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে আজ বৃহস্পতিবার রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাম জোট এসব কথা বলেছে। এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করে এবং গণমুখী বাজেট প্রণয়নের দাবিতে আগামী শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম জোট।

বাম জোট বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে দেশি-বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করা হয়েছে। এমনিতেই সরকার ঋণের ভারে জর্জরিত। ঋণের সুদ পরিশোধের জন্যই বাজেটে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ মোট বাজেটের সাত ভাগের এক ভাগ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

টাকার অবমূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি বিবেচনায় নিলে বাজেটে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বরাদ্দ বাস্তবে বাড়েনি বলে উল্লেখ করেছে বাম জোট। তারা বলছে, বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি রোধে কোনো কার্যকর দিকনির্দেশনা নেই। যেখানে আজিজ, বেনজীর, আনার-কাণ্ডে সরকারের দুর্নীতির ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে, সেখানে এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা শিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলীর পক্ষে আজ রাতে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কিত এই প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।