ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন।
আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়। বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনের ওপর আগামীকাল মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে।
ওই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর মহানগর আদালতে নাকচ হয় জামিন আবেদন। এ অবস্থায় হাইকোর্টে তাঁদের জামিন চেয়ে আজ আবেদনটি করা হয়েছে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, পল্টন থানায় করা ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এটি শুনানির জন্য আগামীকাল আদালতের কার্যতালিকায় থাকবে।
জামিনের যুক্তি সম্পর্কে এ আবেদন–সংশ্লিষ্ট একাধিক আইনজীবী সূত্র বলছে, মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগও নেই। এজাহারে নাম থাকা দুজন জামিনে আছেন। পল্টন থানায় গত ৮ ডিসেম্বর করা এ মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আরজি রয়েছে আবেদনে। মামলায় কেন তাঁদের জামিন দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রুলও চাওয়া হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে আর রমনা থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
এদিকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। পরে ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় ৮ ডিসেম্বর করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৯ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। তখন থেকে তাঁরা কারাগারে। ওই সব মামলার মধ্যে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪৫৫ জন। তাঁদের মধ্যে মাত্র দুজনের জামিন হয়েছে।