বর্তমান সরকার রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। সমাজে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। এমন এক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। এই সংকট উত্তরণে সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সরকার জনগণের শক্তি খুব শিগগিরই দেখতে পাবে।
গণ অধিকার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে আসে। আজ বুধবার রাজধানীর পল্টনে গণ অধিকার পরিষদের দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। সরকার দুই হাজার আলেম–ওলামা আটক করে রেখেছে। এসব জনগণ ভালো চোখে দেখছে না। সরকার জনগণের শক্তি খুব শিগগিরই দেখতে পাবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে যেতে কোনো দ্বিমত নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’
যে চেতনায় পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তার তেমন কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি বলে মন্তব্য করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।
বর্তমান সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ মন্তব্য করে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন চায়। সুতরাং দেশে নির্বাচন হবে। বিএনপির কাজ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। গণ অধিকার পরিষদের তরুণ নেতা–কর্মীরা ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, এমন এক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, যারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। যারা প্রকাশ্যে ভোট চুরিকে জায়েজ করতে চেষ্টা করে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক বলেন, দেশ বাঁচাতে হলে এই সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামের বিকল্প নেই। সরকার রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। সমাজে একটা নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে। সরকারের পতনের দাবিতে যেকোনো দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।