স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চায়: বরকতউল্লা

এক দফা দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। শুক্রবার বিকেলে নগরের নুর আহমদ সড়কে—
ছবি: জুয়েল শীল

একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

বরকতউল্লা বলেন, ‘দাবি একটাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে একটি স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকার ফেরত চায়। ভোটাধিকার ফেরত দিতেই হবে।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকতউল্লা বলেন, ‘একদিনের ঘোষণায় লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়, শেখ হাসিনার পায়ের তলায় মাটি নেই।’

হিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বরকতউল্লা। তিনি বলেন, তারেক রহমানের আগে তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান দেশে আসবেন—এমন কথা কানে আসছিল। তিনি দেশে এলে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। সে কারণে ভীত হয়ে জুবাইদা রহমানের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগের ‘এক দফা’ দাবিতে আয়োজিত গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শুরু হয় বেলা তিনটায়। এর আগেই চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতা-কর্মীরা। কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে লাভ লেন পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় নেতা-কর্মীরা নানা স্লোগান দেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা নগর বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান বলেন, সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে গেছে। এ সরকার অবৈধ। এ সরকার ভোট চোর। আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রেখে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। জনগণ রাস্তায় নেমে গেছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে।

সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর দেশে পরিণত হয়েছে। এই সরকার মানুষের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পূরণ করতে পারছে না। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিনা ভোটের মেয়র মশার ওষুধ স্প্রে করেছে। কিন্তু এমন ওষুধ কিনেছে যে মশা মারা যায় না।

নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজ‌ুমদার, হারুন অর রশিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।