‘যিনি লম্বাচওড়া, তিনি তো হেভিওয়েট হতেই পারেন’

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান ওমরের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠি-১ আসনের মোহাম্মদ শাহজাহান ওমরের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘কে হেভিওয়েট, কে হেভিওয়েট নয়, সেটা জনগণ ব্যালটে ঠিক করবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আপনার ওখানে তো হেভিওয়েট প্রার্থী আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কে হেভিওয়েট, কে কম ওয়েটের প্রার্থী, সেটা জানি না। আমি তো ছোটখাটো মানুষ। আমার ওজন কম হতেই পারে। যিনি লম্বাচওড়া, তিনি তো হেভিওয়েট হতেই পারেন। কিন্তু চিন্তা বা বিবেচনার বিষয় হওয়া উচিত পলিটিক্যালি আমি কতটুকু কমিটেড।’

ঝালকাঠি-১ রাজাপুর-কাঁঠালিয়া থেকে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান। এই আসনে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া শাহজাহান ওমরকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন মনিরুজ্জামান।

তবে প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা হারান তিনি। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। আজ তিনি আপিল শুনানিতে ফিরে পেয়েছেন প্রার্থিতা।

২০০৮ সাল থেকে দলের কাছে মনোনয়ন চাচ্ছিলেন, বলেন মনিরুজ্জামান। তিনি  ২০ থেকে ২২ বছর সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। কিন্তু দল তাঁকে  মনোনয়ন দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এলাকাবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের পজিটিভ চিন্তার কারণে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন বলে জানান।

শাহজাহান ওমরকে ইঙ্গিত করে মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমি কোনো সাংঘর্ষিক বক্তব্য দিতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমি প্রত্যাশা করি, আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে রায় দেবে, কে হেভিওয়েট।’

দল থেকে বা নৌকা প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই বলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান মনিরুজ্জামান। নির্বাচন উৎসবমুখর, অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।