সরকার পতনের আন্দোলন থামানো যাবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ

আজ সোমবার সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা রাজধানীতে মিছিল করেন। পল্টন এলাকা, ৬ নভেম্বর
ছবি: সাজিদ হোসেন

সহিংসতা অথবা অন্য কোনো প্রলেপ দিয়ে সরকার পতনের চলমান আন্দোলনকে থামানো যাবে না বলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এ দাবি করেন।

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ দুপুর ১২টার দিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক, পুরানা পল্টন ও প্রেসক্লাব এলাকায় মিছিল করেন। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, মানুষের আন্দোলনকে কোনো রকম সহিংসতা অথবা অন্য কোনো প্রলেপ দিয়ে বন্ধ করা যায় না। এটিকেও থামানো যাবে না।

সরকার দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, মানুষ এখনো শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল, অবরোধ করছে। যে গণজাগরণ তৈরি হয়েছে, তা গণ-অভ্যুত্থানের পথে হাঁটছে। এই সরকারকে বিদায় করে মানুষ ঘরে ফিরবে।

আরও পড়ুন

সাইফুল হক আরও বলেন, সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গণতন্ত্র মঞ্চ মাঠে থাকবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটকে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও পুলিশ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া—এই সবগুলো সহিংসতা সরকার এজেন্টদের দিয়ে করিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এই সরকার আরও একটি একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে বলেও অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নিজের অর্জিত সুনামের মর্যাদা যদি রক্ষা করতে চান, তাহলে এই একতরফা নির্বাচনের সরকারি পাঁয়তারা উন্মোচন করেন এবং এই একতরফা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বন্ধ করেন। নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার আছে, যদি নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করার। নিজের সাংবিধানিক যে কর্তৃত্ব আছে, সেটা প্রয়োগ করুন। না হলে জনতার আদালতে আপনাকেও দাঁড়াতে হবে।’

সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান বলেন, জনগণ যেন এই সরকারের নীলনকশার নির্বাচন প্রতিহত না করতে পারে, সে জন্য তারা আবারও হামলা, মামলা শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

১২ দলীয় জোটের মিছিল

অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরাও। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল শেষে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। সেখানে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, অধিকার আদায়ে সবাই ঐক্যভাবে রাজপথে নেমে আসুন।