হাজারীবাগে সমাবেশের আগেই আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ

হাজারীবাগের টালি অফিস রোডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে
ছবি: সেলিম জাহিদ

রাজধানীর হাজারীবাগে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্য এক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দলের চার নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার ১৬টি স্থানে সমাবেশের অংশ হিসেবে আজ হাজারীবাগে এই সমাবেশ হচ্ছে।

এর আগে ধানমন্ডির শংকর বাসস্ট্যান্ডে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। সেখানে সমাবেশ করতে না পেরে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে এই সমাবেশ হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা পৌনে দুইটার দিকে হাজারীবাগের টালি অফিস রোডে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

লাঠি জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকে দেয়। রাস্তার অপর প্রান্তে টালি অফিস রোডের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানেও পুলিশ তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছে।
ছবি: সেলিম জাহিদ

বিএনপির কর্মী–সমর্থকেরা লাঠি হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা বাধা দেন়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। কয়েক মিনিটের মধ্যে উভয় পক্ষ দুই দিকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে টালি অফিস রোডের মোড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা লাঠি হাতে সেখানে যান। এখনো তাঁরা সেখানে লাঠি হাতে অবস্থান করছেন। পুলিশ তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রেখেছে।

টালি অফিস রোডের মোড়ে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা
ছবি: সেলিম জাহিদ

এদিকে শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঠিক উল্টো পাশে বেড়িবাঁধের পাশে ছোট একটি মাঠে বিএনপির সমাবেশ চলছে। সমাবেশে বিএনপির শত শত নেতা–কর্মী লাঠি ও জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে  জড়ো হচ্ছেন। এ সময় সড়কের দুই প্রান্তে থাকা দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে দুই পক্ষকেই নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা করছে। পুলিশ বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের লাঠি সরিয়ে ফেলতে বলেছে।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এহসানুল ফেরদৌস উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশে তো লাঠির দরকার নেই । লাঠি থাকলে শান্তি বিনষ্ট হতে পারে । সে জন্য আমরা সমাবেশে আসা লোকজনকে লাঠি সরিয়ে ফেলতে বলেছি।’