রাজনীতিবিদদের মধ্যে পড়ালেখার গভীরতা কম: ওবায়দুল কাদের

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যের লেখা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় প্রেসক্লাব, ১৯ ফেব্রুয়ারি
ছবি: প্রথম আলো

দেশে রাজনীতিবিদদের মধ্যে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সাধারণত তাঁদের পড়ালেখার গভীরতা কম বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বিদেশে বাসে বসে, ট্রেনে বসে অহেতুক গল্পগুজব করে কেউ সময় নষ্ট করে না। একজন নেতাকে অবশ্যই পাঠক হতে হবে।’

আজ রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বর্ণযুগ’ শীর্ষক বইটি লিখেছেন জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা পরিবর্তনের বিকল্প নেই। ২০০১ সালে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপিকে সুফল দিয়েছে, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত বলে দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক বাতিল। এটা ডেড ইস্যু। জীবিত করতে যত চেষ্টাই করেন, দেশের সংবিধান অনড় থাকবে।’

শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর ১৯৭৫ সালের পর একমাত্র আওয়ামী লীগ করেছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব সময় একটা কিছু লেগেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন বঙ্গভবনে। গণভবনে ফিরে দেখেন, তাঁর বিদ্যুতের সংযোগ কাটা, পানির লাইন কাটা, টেলিফোন লাইন কাটা। এই অসম্মান বরণ করতে হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ অপমানজনক পরিস্থিতি তত্ত্বাবধায়কের নামে সৃষ্টি করা হয়েছিল; যে তত্ত্বাবধায়কের প্রধান উপদেষ্টা বঙ্গভবনে শপথ নিয়ে ১৩ জন সচিবকে চাকরিচ্যুত করেছেন। সাইকেল ফেডারেশনের সঙ্গে নির্বাচনের কী সম্পর্ক, অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই ফেডারেশন বাতিল ঘোষণা করেছেন। এই তত্ত্বাবধায়ক আমরা চাই না।’

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বইয়ের প্রকাশক কাজী তারিক আহমেদ, সম্পাদক ফিরোজ আলম ও লেখক রওশন আরা মান্নান।