জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশ ও দেশের জনগণকে তিন শত্রুগোষ্ঠী মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এরা হলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎকারী, জনগণের প্রাপ্য ও হক চুরি করে খেয়ে ফেলা দুর্নীতিবাজ লুটেরা, চাটার দল, চোরের দল; জনগণের পকেটকাটা বাজার সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্ব অস্বীকারকারী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গী।
আগামী ৩১ অক্টোবর জাসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাসদ সভাপতি এসব কথা বলেন। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এই তিন শত্রু মোকাবিলা করাই দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের প্রধান দায়িত্ব। তিনি জাসদের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এই শত্রুদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ধারায় দলের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপনে গা ঝাড়া দিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান।
সরকারকে কোনো অজুহাত না দেখিয়ে এ তিন শত্রু দমন করতে হবে উল্লেখ করে ইনু বলেন, শত্রুদের মোকাবিলা করতে হলে আওয়ামী লীগকে রাজনীতির পথে আসতে হবে, আওয়ামী লীগের ছায়া থেকে দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের বের করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত–তালেবানি শক্তি’ পুনরুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য যে হুমকি দিচ্ছে, তা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগকে একলা চলো নীতি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ওপর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পথে আসতে হবে।
১ অক্টোবর বিকেলে ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় একযোগে মশাল মিছিল, ৩১ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ এবং অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি এই চার মাসে জেলা-উপজেলায় জনসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতির খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা হয় জাসদের ওই যৌথ সভায়।
সভায় জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক জোট, জাতীয় কৃষক জোট, জাতীয় নারী জোট, জাতীয় যুব জোট, জাতীয় আইনজীবী পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ননী-মাসুদ) কেন্দ্রীয় কমিটি ও মহানগর কমিটির নেতারা অংশ নেন।
জাসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রবীণ জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার ছাড়াও মীর হোসাইন আখতার, ফজলুর রহমান, আফরোজা হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, উম্মে হাসান, মোখলেছুর রহমান, শওকত রায়হান, মোহাম্মদ মোহসীন, রোকনুজ্জামান রোকন, ওবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, সাজ্জাদ হোসেন, মোহম্মদ সেলিম, জাতীয় নারী জোট নেত্রী সৈয়দা শামীমা সুলতানা, জাতীয় কৃষক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ফসি, জাতীয় যুব জোট সহসভাপতি আমিনুল আজিম, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক কণক বর্মণ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-ম) সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ বক্তব্য দেন।