নির্বাচনে না নিতে পেরে সরকার হুমকি দিচ্ছে: নুরুল হক

হরতালের সমর্থনে আজ সোমবার ঢাকার পল্টন এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মিছিল
ছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদকে নির্বাচনে নিতে না পেরে সরকার এখন হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকায় এক সমাবেশে তিনি এমন অভিযোগ করেন। হরতালের পক্ষে এই সমাবেশের আগে ঢাকার পুরানা পল্টন, নাইটিঙ্গেল মোড়, নয়াপল্টন এলাকায় মিছিল করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা–কর্মীরা।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে আসামি করে গতকাল রোববার পুলিশ আদালতে একটি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে বলে জানান নুরুল হক। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে রেজা–ফারুকদের (গণ অধিকার পরিষদের আরেক অংশের নেতা রেজা কিবরিয়া ও ফারুক হাসান) নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। এভাবে গণ অধিকার পরিষদ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ভাঙার চেষ্টা করছে সরকার।’

সরকারের প্রতি পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দেওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন নুরুল হক। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে পথে হাঁটছেন, সেটা আত্মঘাতী পথ। আপনাদের আত্মহননের পথ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রেক্ষাপট আর এখনকার প্রেক্ষাপট এক নয়। আপনাদের হাতে এখনো সুযোগ আছে।’

জাতির সামনে সাহসী নেতৃত্ব ও সুবিধাবাদী নেতৃত্ব চেনার সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, তাঁরা সামরিক বাহিনী, বিচার বিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতামত নিচ্ছেন, আলোচনা করছেন। সরকার পদত্যাগ না করলে অচিরেই অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে এবং তাতে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা অংশ নেবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, হামলা-মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ। কিন্তু তাঁদের অনেকের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতেমা তাসনিম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবদুজ জাহের।

এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, আনিসুর রহমান প্রমুখ।