বাস্তবতার কারণে জোটের সবাই একটা প্রতীক চাইছে

হাসানুল হক ইনু: আমরা জোটে আছি। জোটের প্রার্থী যেখানে থাকবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে না। জোটের বাইরে আওয়ামী লীগও থাকবে, জাসদও থাকবে। সেটা স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা হবে। অতীতেও আমরা করেছিলাম। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যের ধারা অব্যাহত আছে। আমরা একসঙ্গে নির্বাচন করব, যাতে একসঙ্গে সংসদে জোট থাকতে পারে।

ইনু: নির্বাচনে বিএনপি না আসার পরও অনেকেই ভোট করছে। স্বতন্ত্র হিসেবে করছে, অন্য দলের হয়ে করছে। সুতরাং সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব আসনেই থাকবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তো কেউ যাচ্ছে না।

ইনু: জোটের প্রার্থীদের সুবিধার্থে ও মাঠের বাস্তব অবস্থার কারণে জোটের একটা প্রতীকই সবাই ব্যবহার করতে চাইছে।

ইনু: টিকতে পারা না পারার কোনো ব্যাপার না। জোটের প্রার্থীরা যেন একই রকম ঐক্যের ভেতরে থাকেন। জোটের একেক প্রার্থী একেক মার্কায় ভোট করলে ভোটারদের অসুবিধা। সেই হিসেবে আমরা এক প্রতীকে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইনু: জোটের মনোনীত প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে ভোট করবেন। জোট আরেকটা কৌশল নিচ্ছে যে জোটের বাইরেও অন্য আসন উন্মুক্ত থাকবে। এমনটি হলে দল মনে করলে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবে। বিষয়টিও আমাদের বিবেচনায় আছে। সে হিসাবে আমরা দলীয় মনোনয়ন দিয়েছি ৯১টি।

ইনু: নিজেদের প্রতীক নিয়ে ভোট করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সেখানে বিজয়ী হয়েছি। রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি) নিজের প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন কয়েকবার। এখন জোটের স্বার্থে, জোটের ঐক্য সংহতি রক্ষার জন্য এক প্রতীকে ভোট করার কথা বিবেচনা করছি।

ইনু: আমি জোটের প্রতীক নিয়ে ভোট করতে চাইছে। কারণ, গত তিন নির্বাচনই আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেছি। আমার এলাকার ভোটারদের ওইভাবে একটা মানসিক গঠন তৈরি হয়েছে। তাঁরা অভ্যস্ত হয়েছেন ওইভাবে ভোট দিতে। সুতরাং সেটা হলে বাস্তবতার কারণে একটা সুযোগ পাই আরকি। ভোটারদের সুবিধা হয়। ঘন ঘন প্রতীক বদলালে ভোটারদের জন্য অসুবিধা হয়।

ইনু: জোটে যে রকম রাজনৈতিক ঐক্য থাকে, সেভাবে নির্বাচনী ঐক্যকে সম্মানজনক করতে হলে আসন–ভাগাভাগিতে প্রতিটি দলের সম্মানজনক বণ্টনের নীতি অনুসরণ করলে ভালো হবে।