২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না

সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বক্তারা। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে
ছবি : তানভীর আহাম্মেদ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে নেতারা বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে আবারও পুরোনো কৌশলে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। চলতি নির্বাচনব্যবস্থা কার্যকারিতা হারিয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সমাবেশে সিপিবির নেতারা এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে সিপিবি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে সিপিবির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘বর্তমান সরকার বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে তারা একচুলও ছাড় দেবে না। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায় ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অর্থাৎ দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। রাজনীতি আর জনগণের হাতে নেই। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো রাজনীতির ক্রীড়নক হয়ে গেছে। আমরা চাই, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার প্রভাব বন্ধ করতে হবে। দিনের ভোট রাতে করার প্রশাসনিক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।’

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে। জনগণ ভোট দিলে আপত্তি ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। ভোটবিহীন সরকারকে আমরা এক সেকেন্ডও ক্ষমতায় দেখতে চাই না।’

রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের একাংশ
ছবি : তানভীর আহাম্মেদ

সংকট অনেক ‘গভীরে’ উল্লেখ করে রুহিন হোসেন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া এই সরকার সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। উপরন্তু তাদের একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।  ‘লুটপাটতন্ত্র’ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সিপিবির সহকারী সম্পাদক মিহির ঘোষ। সমাবেশে শ্রমিকনেতা মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় নেতা সাজেদুল হক, হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সিপিবির সভাপতি শাহ আলম আগামী দুই মাসব্যাপী উপজেলা ও জেলা শহরে মিছিল ও সমাবেশ এবং সেপ্টেম্বরের শেষে গণজাগরণ অভিযান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।