জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সমাবেশ। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আবারও আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা চলছে। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, সভা-সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ যোগ দিতে রাস্তায় নেমেছে, সমাবেশে যোগ দিচ্ছে। সেখানে আমরা কেন সন্ত্রাস করব? সন্ত্রাসী তারা (আওয়ামী লীগ)। তাদের একমাত্র পথই হচ্ছে সহিংসতা ও সন্ত্রাস।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের শোভাযাত্রা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে
ছবি তানভীর আহাম্মেদ

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। লগি-বৈঠা, খুন-গুম, হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়ার রেকর্ড এই দলের নেই। এটা আছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগের।

আমীর খসরু মাহমুদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কিছু করার নেই বলেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে, তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আগুন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটায়। কারা এ সব আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, আমাদের কাছে এসব আগুন সন্ত্রাসের সব তথ্য–প্রমাণ আছে। এই দেশে যে দিন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে, তখন ওইসব আগুন সন্ত্রাসীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখনই জয়ী হয়েছে। এখন একদিকে বাংলাদেশের মানুষ, অন্যদিকে ফ্যাসিস্ট সরকার। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্তায় নেমেছে—এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

আমীর খসরুর ভাষ্যমতে, বিএনপিও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, নির্বাচনে যাবে না। বরং গণ–আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। একে দমন করার শক্তি কারও নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সমাবেশে মহিলা দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে।