জনসম্পৃক্ততা হারানোয় বিএনপি ভোট ভয় পায়: পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, তাদের আন্দোলনের ক্ষমতাও নেই। সহিংসতাকেই তারা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। ২০১৪ সালেও তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। এতে করে বিএনপি জনসম্পৃক্ততা সম্পূর্ণরূপে হারিয়েছে। এ জন্যই তারা ভোট ভয় পায়।’
বিদেশি বন্ধুদের ওপর নির্ভর করে পেছনের দরজা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায় মন্তব্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘এবার কোনোভাবেই জনগণের ওপর সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। বিএনপি যদি সহিংসতা করে, তাহলে যুবলীগও শক্তি প্রদর্শন করতে বাধ্য হবে।’
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানার আওতাধীন ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ১০০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের ১০৪টি ইউনিট কমিটির ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপিকে নিয়ে শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জনগণের, দেশের, গণতন্ত্রের এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু। ১৯৭১ সালেও তারা দেশের মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তারা মিলিটারি স্টাইলে, পাকিস্তানি মডেলে ডিক্টেটরশিপ চালিয়েছে। দুর্নীতিতে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। মিস্টার ২০ পার্সেন্ট, খাম্বা লিমিটেড আর হাওয়া ভবনের প্রবর্তক তারা।’
উন্নয়ন আর জনগণের সরকারকে উৎখাত করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে শেখ ফজলে শামস বলেন, ‘দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে গ্যাস বিক্রির চুক্তিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আওয়ামী লীগকে ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। তাদের এসব প্রভাব বিস্তার নতুন কোনো ব্যাপার নয়। তবে এবার আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। দেশি-বিদেশি চক্রান্ত আমরা ভয় পাই না। কারণ, আমাদের ক্ষমতার উৎস এ দেশের সাধারণ জনগণ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নাকি (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্রের সব কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। আমরা নাকি ভোটব্যবস্থা ধ্বংস করেছি। এসব কথা শুনে ঘোড়াও হাসে।’
বিএনপি ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সহিংসতা নিয়ে দলীয় নেতা–কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, ‘বিএনপির বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। সবাইকে এই একটা শপথই নিতে হবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওবায়দুল কাদের উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানান সম্মেলনের সঞ্চালক ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান, ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সেলিম আলতাফ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।