উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে: এবি পার্টি

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ১৫ জুলাই, ২০২৫ছবি: প্রথম আলো।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সংসদের উচ্চকক্ষ ও নারীদের সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে এখন ‘ডেডলক অবস্থা’ (অচলাবস্থা) বিরাজ করছে বলে মনে করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, উচ্চকক্ষ যদি ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতে না পারে, তাহলে সেই উচ্চকক্ষে শুধু রাষ্ট্রের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার অপচয়ই বাড়বে, কার্যকর কিছুই হবে না। একসময় এই উচ্চকক্ষ রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, নিম্নকক্ষের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হলে ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি আসবে না। এবি পার্টি ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ চায়। এমন উচ্চকক্ষ চায়, যেখানে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। কার্যকর উচ্চকক্ষ থাকতে হবে, এটি যেন রাজনৈতিক পুনর্বাসনের কেন্দ্রে পরিণত না হয়।

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে এখন পর্যন্ত কোনো ঐকমত্য হয়নি। সংস্কারপ্রক্রিয়ার মৌলিক সংস্কারে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে, এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানান তিনি।

সানী আবদুল হক বলেন, কী পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ তৈরি হবে, সেটা নিয়েও একমত হওয়া যাচ্ছে না। উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে আলোচনা এখন ‘ডেডলক অবস্থা’ বিরাজ করছে। এখান থেকে যেন এক চুল নড়ছে না। কমিশনের প্রস্তাব হলো ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ তৈরি হবে। অধিকাংশ দল এ ব্যাপারে একমত। এবি পার্টিও ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ চায়।

এবি পার্টির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের যুগ্ম আহবায়ক ফওজিয়া ফারিহা করবী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব মাহমুদুল হাসান আসিফ ও দপ্তর সম্পাদক সোলায়মান আল হাবিব।