লুটপাটের পর সরকার এখন শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ধ্বংসের চক্রান্ত করছে

‘বিভ্রান্তিকর ইতিহাস–সংবলিত এবং ধর্ম ও সংস্কৃতিবিরোধী’ পাঠ্যবই বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে গণসমাবেশ শেষে মিছিল করে খেলাফত মজলিস। জাতীয় প্রেসক্লাব, ১১ ফেব্রুয়ারি
ছবি: প্রথম আলো

বর্তমান সরকার দুর্নীতি-লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি। এখন তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ধ্বংসের চক্রান্তে নেমেছে। এ অভিযোগ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির যোবায়ের আহমদ চৌধুরী।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে যোবায়ের আহমদ এ অভিযোগ করেন।

খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা, দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা।

‘বিভ্রান্তিকর ইতিহাস–সংবলিত এবং ধর্ম ও সংস্কৃতিবিরোধী’ পাঠ্যবই বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট সমাধানের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে। যত দিন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস-মূল্যবোধ, সংস্কৃতি প্রতিস্থাপিত না হবে, তত দিন আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’ বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

গণসমাবেশ থেকে খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা, দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও আছে গ্রেপ্তার করা আলেম–ওলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি, তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করা, পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব করা, দুর্নীতি নির্মূল করা, বেকার সমস্যার সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান।

গণসমাবেশ থেকে কয়েক মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি জেলা-মহানগরী পর্যায়ে বিক্ষোভ; ২৯ এপ্রিল উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও গণসমাবেশ; ২৭ মে ও ২৪ জুন সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ; পবিত্র রমজান মাসে (১ এপ্রিল) আট দফা দাবির ওপর আলেম, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা।

গণসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড়, বিজয়নগর, নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্টন টাওয়ারের সামনে যান নেতা-কর্মীরা।

গণসমাবেশে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুল জলিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নায়েবে আমির আবদুল বাসিত আজাদ, আহমদ আলী; যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুনতাসির আলী; কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।