কেব্‌ল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সবাই উপকৃত হবে: তথ্যমন্ত্রী

রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কোয়াব আয়োজিত ইফতার সভায় তথ্যমন্ত্রী বক্তব্য দেন
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেব্‌ল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে দর্শক, অপারেটর, সরকার সবাই উপকৃত হবে। দর্শক বেশি চ্যানেল ও স্বচ্ছ ছবি পাবে, অপারেটররা ব্যবসার সঠিক হিসাব ও সরকার রাজস্ব পাবে।

একই সঙ্গে এ জন্য প্রয়োজনীয় সেট টপ বক্সগুলো যেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সবার সামর্থ্য অনুযায়ী কেনার সুযোগ থাকে, সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

মন্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কেব্‌ল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) আয়োজিত ইফতার সভায় এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একেকটি এলাকা বণ্টন করে নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করতে চাই না। ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া শুরুতে এনালগ পদ্ধতিও পাশাপাশি থাকতে পারে। তবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশি-বিদেশি সব চ্যানেল আর এনালগ পদ্ধতিতে শুধু দেশি চ্যানেল দেখা যাবে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু। এখন প্রায় ৩৬টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, আরও আসছে। এটি না হলে আজ কেউ টিভি চ্যানেল মালিক বা কেব্‌ল অপারেটর থাকতেন না। সুতরাং যাঁর নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, যাঁর কারণে এই শিল্পের বিকাশ, তাঁর নেতৃত্বে এই অগ্রযাত্রা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবনায় রাখার অনুরোধ জানাই।’

হাছান মাহমুদ এ সময় কয়েক দশক ধরে টিভি চ্যানেলগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় কেব্‌ল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। আইনানুসারে বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার ও টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক রাখার বিষয়ে সহযোগিতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।

কোয়াব নেতাদের উত্থাপিত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, কেব্‌ল অপারেটররা  ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু করলে যেমন এক ব্যবসা অঙ্গনে অন্যের ঢুকে পড়া হবে, সেটি ওটিটি প্লাটফর্ম এবং অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওটিটি নীতিমালার চূড়ান্ত খসড়াটি হাইকোর্টের অনুমোদন হয়ে এলে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

কোয়াব সভাপতি এ বি এম সাইফুল হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ আলী, সহসভাপতি রাশেদুর রহমান মালিক ও সৈয়দ হাবিব আলী, সাবেক সভাপতি আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন। একাত্তর টিভির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাবু, এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।