চিকিৎসাকে পরমুখাপেক্ষী করার লক্ষ্যে চিকিৎসকদের ওপর হামলা হচ্ছে: ড্যাব

বাংলাদেশের মানুষকে চিকিৎসায় পরমুখাপেক্ষী করার লক্ষ্যে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এ অভিযোগ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয় যে স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হামলায় চট্টগ্রামের পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রক্তিম দাসের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসা দিতে দেরি করার অভিযোগে দুর্বৃত্তরা তাঁকে মারধর করে। এ বিষয়ে আহত চিকিৎসক মামলা করতে গেলে পটিয়া থানার ওসি মামলা নিতে চাননি। কারণ দুর্বৃত্তরা স্থানীয় সংসদ সদস্যের লোক। শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মামলা নেওয়া হয় মামলার ধারা পরিবর্তন করে।

ড্যাব বলেছে, পয়লা বৈশাখের দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারেও কতিপয় দুর্বৃত্ত শিশুরোগবিশেষজ্ঞ রিয়াজ উদ্দিনের ওপর হামলা করে। মেডিকেল সেন্টারে গুরুতর অসুস্থ এক শিশুর মৃত্যুর পর চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিনের ওপর হামলা হয়। তিনি এখন আইসিইউতে ভর্তি। সম্প্রতি এক চিকিৎসক তাঁর সন্তানকে ‘কিশোর গ্যাং’ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন।

বিবৃতিতে ড্যাবের সভাপতি ও মহাসচিব চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো ন্যক্কারজনক বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁরা বলেন, মূলত বিচার না হওয়ায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ করা যাচ্ছে যে আইনের তোয়াক্কা না করে সরকারদলীয় ‘ক্যাডার বাহিনী’ একের পর এক চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ ভাঙচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে যাচ্ছে। কার্যত বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি পরমুখাপেক্ষী চিকিৎসা ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে এসব করা হচ্ছে।

ড্যাবের দুই নেতা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারী দুর্বৃত্তদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে এবং এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারের ওপর বর্তাবে বলে সতর্ক করেন তিনি।