আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না: ১২–দলীয় জোট

আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অতি কাছে বলে মনে করছেন ১২-দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে এখন বিভিন্ন দলছুট নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে।

১২–দলীয় জোটের নেতারা আরও বলেছেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারও একতরফা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ। তাই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে জোটের নেতারা এ কথা বলেন। সরকারে পদত্যাগ, রাজবন্দীদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ১২–দলীয় জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি বিজয়নগর ঘুরে পুরানা পল্টন মোড় এসে শেষ হয়।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদত হোসেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ভরসা করে টিকে আছে। তারা দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় রাখলে বাংলাদেশ কঠিন বিপদে পড়বে।

রাশেদ প্রধান বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার চাপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ভারত-রাশিয়ার তাঁবেদারি করছে। কিন্তু জনগণ তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।