সাংবিধানিক নিয়োগে এনসিসির পরিবর্তে নতুন কমিটির প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের
দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) পরিবর্তে একটা নিয়োগ কমিটি করার প্রস্তাব দেয়। যেখানে কোনো একজন ব্যক্তির কর্তৃত্ব থাকবে না। এর সঙ্গে দুই–তিনটি রাজনৈতিক দল ছাড়া এবি পার্টিসহ সবাই একমত হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে আরেকবার বিষয়টি ভেবে দেখতে বলেছে।
আজ রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের আলোচনার বিরতিতে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়োগগুলো একজনের হাতে ন্যস্ত থাকার কারণে গত ১৬ বছরে অনেক জটিলতা তৈরি হয়। রাষ্ট্র একজন ব্যক্তি কিংবা একটি দলকেন্দ্রিক হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ঐকমত্য কমিশন এই প্রস্তাব দিয়েছে।
এক ব্যক্তি কিংবা এক দলের কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত থাকার ফলে কীভাবে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়, তা গত ১৬ বছরের শাসনামল দেখিয়েছে উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে যদি আমরা শিক্ষা না নিই এবং জুলাইকে স্মরণে না রাখি তাহলে একই ভুল আবার হবে। একই ঘাটে আমাদের আবার পতিত হতে হবে। আবার গণ–অভ্যুত্থানের জন্য মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে।’
ফুয়াদ বলেন, ‘এ জন্য আমরা বলেছি যে এ বিষয়গুলোতে যত তাড়াতাড়ি ঐক্য হবে, জুলাই সনদটি তত তাড়াতাড়ি হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যত দেরিতে ঐকমত্যে পৌঁছাবে, জুলাই সনদ হতে তত সময় লাগবে।’