স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের দুই নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ বিএনপির

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে, নেত্রকোনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আতাউর রহমানকে ছয় দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিমকে তিন দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু তারা স্বীকার করছে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ।

আরও পড়ুন

এমরান সালেহ বলেন, রহিমের মা আবেদা খানম রাজধানীর ওয়ারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ১২ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে রহিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর ফোন খোলা ছিল। কিন্তু ১৩ ডিসেম্বর থেকে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

এমরান সালেহ বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, রহিমকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তিনি তাদের হেফাজতেই আছেন।

আতাউর সম্পর্কে এমরান সালেহ বলেন, তিনি ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবার বলছে, তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু স্বীকার করছে না।
এমরান সালেহ বলেন, ‘আমি অবিলম্বে এই দুজনের সন্ধান দাবি করছি। পরিবারের কাছে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’

আরও পড়ুন

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি স্তব্ধ করে দিতে গায়েবি ও মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আবার বেছে বেছে বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে তুলে নেওয়া হচ্ছে।

এমরান সালেহ বলেন, বর্তমান সরকার তাদের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট আড়াল করতে মিথ্যাচার করছে। আওয়ামী লীগের হাতে রাষ্ট্র যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারসহ জনগণের জীবন-জীবিকা নিরাপদ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।