আয়, গাড়ি, নগদ ও ব্যাংকের টাকা—সব বেড়েছে হাবিব হাসানের

মোহাম্মদ হাবিব হাসান

মাত্র তিন বছরের ব্যবধান। এর মধ্যে ব্যক্তিগত আয়, গাড়ি, নগদ টাকা, ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রাখা টাকা—সবকিছুই বেড়ে গেছে ঢাকা-১৮ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে তাঁর দেওয়া হলফনামায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

হলফনামার তথ্যানুযায়ী, তিন বছরের ব্যবধানে হাবিব হাসানের ব্যাংকে জমা রাখা টাকার পরিমাণ ১২ গুণের বেশি বেড়েছে। গাড়ি দুইটির জায়গায় হয়েছে ৪টি।

২০২০ সালের জুলাইয়ে মারা যান ঢাকা-১৮ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন। তাঁর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর এ আসনে উপনির্বাচন হয়। এতে হাবিব হাসান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০২০ সালে হাবিব হাসানের দেওয়া হলফনামার তথ্যানুযায়ী, অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ টাকা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর আর্থিক মূল্য বাবদ মোট দেখানো হয় ১৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকে ছিল ১১ লাখ ৪৬ হাজার। হাতে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ।

তবে এবারের হলফনামায় হাবিব হাসানের ব্যাংকে জমা রাখা টাকার পরিমাণ ১২ গুণের বেশি বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ। এখন তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ পৌনে ১১ লাখ। সব মিলিয়ে আছে প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

উপনির্বাচনের হলফনামায় এই প্রার্থীর দুটি গাড়ি থাকার কথা উল্লেখ ছিল। এর একটি টয়োটা প্রিমিও, অন্যটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো। এখন তাঁর গাড়ি হয়েছে দ্বিগুণ—৪টি।

২০২০ সালের হলফনামায় এই প্রার্থীর বার্ষিক আয় দেখা হয়েছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৭১২ টাকা। তখন অবশ্য ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ছিল আরও তিন লাখ টাকা।

তবে এবারের হলফনামায় হাবিব হাসানের বার্ষিক আয় বেড়ে হয়েছে ৫২ লাখ ৩৩ হাজার ৮১১ টাকা। আগে ব্যবসা থেকে এই সংসদ সদস্যের কোনো আয় দেখানো হয়নি। কিন্তু এবার ব্যবসা থেকে তিনি আয় দেখিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। তবে আয়ের খাতে যুক্ত হয়েছে সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি যে ভাতা পান, সেই টাকা। এর পরিমাণ বার্ষিক ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

এই সংসদ সদস্যের এখন আর কোনো কৃষিজমি নেই। ২০২০ সালের তাঁর কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ১৫০ শতাংশ।

হাবিব হাসানের অকৃষিজমির পরিমাণ এখন ১৯২ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগে তাঁর তিনটি বহুতল ভবন ছিল। এবারের হলফনামায় দুটি দেখানো হয়েছে।

২০২০ সালের হলফনামায় হাবিব হাসানের মোট দেনা ছিল ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪ হাজার ৮৬২ টাকা। এখন তাঁর কোনো দেনা নেই।