দুর্নীতিবাজদের ধরতে ‘বিশেষ কমিশন’ গঠনের দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনকারীদের খুঁজে শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ‘বিশেষ কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে লুটপাট বন্ধে ও সুশাসন ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে দলটি।
গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এই দুটিসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়। আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।

দলের অন্য দাবিগুলো হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, অর্থ পাচার রোধ ও পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করে অর্থ আদায় ও ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে’ বিচার করা।
 
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ ও মিছিল করবে ওয়ার্কার্স পার্টি। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট মাসে জেলায় জেলায় পার্টির সদস্যদের সাধারণ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় দলটির কংগ্রেসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা উত্থাপিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য ও খেলাপি ঋণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতকে রেল করিডর প্রদান সম্পর্কে সভায় বলা হয়, ওয়ার্কার্স পার্টি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগের (কানেকটিভিটি) ওপর গুরুত্ব দেয়। তবে সেটা নিশ্চয়ই একপক্ষীয় নয়। বহুপক্ষীয় করা ছাড়া এটা একপেশে ও ভারসাম্যহীন হবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে সভায় বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া তিস্তার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহযোগিতা কার্যত গাছের গোড়া কেটে ওপরে পানি ঢালার শামিল। তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ যেন ভূরাজনীতির দ্বৈরথের শিকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া গঙ্গার পানিপ্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন। অন্যান্যের মধ্যে আনিসুর রহমান, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান, নুর আহমদ, কামরুল আহসান, আমিনুল ইসলাম, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, নজরুল ইসলাম ও বশিরুল আলম অংশ নেন।