জঙ্গি আটক করলেই বিএনপির গাত্রদাহ কেন, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ আলোকচিত্র সংকলন এবং ‘রক্তাক্ত মাগুরা: প্রেক্ষিত-মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ঢাকা, ২৩ আগস্ট
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জঙ্গি ধরলেই বা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিলেই মির্জা ফখরুল সাহেব কিংবা বিএনপি নেতারা সেটির বিরুদ্ধে কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হচ্ছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের (বিএনপি) গাত্রদাহ হয় কেন?’

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ আলোকচিত্র সংকলন এবং ‘রক্তাক্ত মাগুরা: প্রেক্ষিত-মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘দেশে জঙ্গি নেই, আওয়ামী লীগ সাজানো জঙ্গি নাটক করছে’ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যেমন চেয়ারম্যান, তেমন মহাসচিব। আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন যে দেশে কোনো জঙ্গি নাই, কিছু মানুষকে ধরে এনে আটক করে রাখা হয়, তারপর চুল-দাড়ি লম্বা হলে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়। আর গতকাল ফখরুল সাহেব বলেছেন, কিছু ধার্মিক লোককে ধরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান যে লাইনে কথা বলেছেন, মহাসচিব যদি সেই লাইনে কথা না বলেন, তাহলে তো মহাসচিবের দায়িত্ব থাকবে না। এই সমস্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়, এই দেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব, যেটি আমরা আগে থেকে বলে এসেছি।’

‘বিএনপি যদি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা না করত, আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কারণ বিএনপির যে জোট, সেই জোটের মধ্যেই জঙ্গিরা রয়েছে এবং বিএনপি নিজেই একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার আদালত কর্তৃক পরপর পাঁচবার রায় পেয়েছে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিএনপিকে টায়ার-ফোর সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সুতরাং তারা নিজেরা যেহেতু সন্ত্রাসী, সে জন্য কোনো জঙ্গি ধরলে তাদের গাত্রদাহ হয়।’

২৫ ও ২৬ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের (বিএনপি) গণমিছিল, হাঁটা মিছিল, দৌড়ানো মিছিল, বসা কর্মসূচি শুধু তাদের কর্মীদের চাঙা রাখার জন্য। ভূরাজনীতির যেসব খবর পত্র-পত্রিকায় এসেছে, সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে হতাশা-অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে, সে জন্য তারা রাত তিনটার সময়ও সংবাদ সম্মেলন ডাকছে। তাদের হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্যই এসব গতানুগতিক কর্মসূচি, অন্য কোনো কিছু নয়।

এর আগে ‘রক্তাক্ত মাগুরা: প্রেক্ষিত-মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থের লেখিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুন নাহারকে ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। পাশাপাশি ‘শেখ মুজিবুর রহমান থেকে জাতির পিতা’ গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ কিছু আলোকচিত্র সংকলনের জন্য নাছিমুল কামালকেও ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, জ্যেষ্ঠ উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা খালেদা বেগম, গ্রন্থকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুন নাহার, মোহাম্মদ নাছিমুল কামাল ও প্রকাশক আবু হাশেম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।