জনগণ টের পাচ্ছে না, ব্যাংকগুলো ফাঁকা করে ফেলা হয়েছে

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর) অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার যে ব্যাংকগুলো ফাঁকা করে ফেলেছে, তা জনগণ টের পাচ্ছে না। ব্যাংক খাতের ‘লুটপাটের’ সঙ্গে সরকারের লোকজন জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব অভিযোগ করেন নুরুল হক। ‘দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি, সড়কে মৃত্যুর মিছিল, ব্যাংকিং খাতের লুটপাটসহ চলমান নৈরাজ্যের’ বিরুদ্ধে সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।

প্রতিবাদ সমাবেশে নুরুল হক অভিযোগ করে বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। লুটপাটের জন্য একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে পরিচালনা পর্ষদে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জনগণ টের পাচ্ছে না, সরকার ব্যাংকগুলো ফাঁকা করে ফেলেছে। সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নামে–বেনামে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছেন। এই টাকা বিদেশে পাচার করছেন। যে কারণে ডলার–সংকট তৈরি হচ্ছে, লুটপাটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।

নুরুল হকের বিরুদ্ধে একটি মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে আমরা ভীত নই। এই সরকারের আমলে বিরোধী দলের নেতাদের নামে এমন শত শত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।’ জাতীয় নির্বাচনের পর এখন স্থানীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘এখন আর আমেরিকা-ইউরোপ কিংবা ভারত-চীনের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। কেউ আমাদের কিছু করে দেবে না। যা কিছু করতে হয়, এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়েই করতে হবে।’

গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিলউজ্জামান, আবদুজ জাহের, সহসভাপতি বিপ্লব কুমার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।