কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে ইসি

নির্বাচন কমিশন ভবন
ফাইল ছবি

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রশ্ন হলো, তাদের এই তৎপরতা শেষ পর্যন্ত কতটুকু কার্যকর হবে? ভোটের মাঠে ইসি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত অটুট রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, বর্তমান ইসির অধীন গত এক বছরে জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকারব্যবস্থার যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রশ্ন রয়েছে। এ ছাড়া গত এক দশকে নির্বাচন নিয়েই মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট। আর আগামী ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনের আগে এই পাঁচ সিটির ভোট নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় পরীক্ষা। পাঁচ সিটির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালে। তখন অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েও ছিল বড় ধরনের বিতর্ক।

২০১৮ সালে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইসির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারা। তখন মামলা, গ্রেপ্তার, হুমকিসহ নানা কৌশলে ভোটের আগেই বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠছাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল। ইসি ছিল চুপচাপ এবং তাদের ভূমিকা তখন প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।

তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবার সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বর্তমান কমিশনের অধীন এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নেয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পরিচালনা করতে হয়নি। তারপরও তাদের অধীন গত এক বছরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে। তারা ‘গোপন বুথে ডাকাত’ ঠেকাতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমে এই ডাকাতদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরও কমিশন তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল হলেও এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচার–প্রচারণা শুরু হয়নি। প্রচার শুরু হওয়ার পর মূলত কমিশনের পরীক্ষা শুরু হবে। এবার একটু আগেভাগেই তৎপরতা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পাঁচ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি প্রতিপালনের অনুরোধ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে ইসি।

আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় জনগণের যৌথসভার মাধ্যমে সবাইকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভোটের প্রচার শুরুর আগেই নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান আগামী সপ্তাহে খুলনা ও বরিশাল সফরে যাচ্ছেন।

নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, শুধু চিঠি বা নির্দেশনা দিয়ে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যাবে না। এ জন্য ইসিকে আইনে তাদের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তার প্রয়োগ করতে হবে।

২৭ এপ্রিল ছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ওই দিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর তিন দিন পর টনক নড়ে ইসির। তারা আজমত উল্লাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ৭ মে তাঁকে নির্বাচন কমিশনে এসে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানও আচরণবিধি ভেঙেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন এসে ইসি বলছে, প্রতিমন্ত্রী যে আচরণবিধি ভেঙেছেন, তা গোচরে আনার জন্য তার একান্ত সচিবকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

যদিও নিজেদের কর্মপরিকল্পনায় সুষ্ঠু ভোটের বাধা উত্তরণে যেসব উপায়ের কথা ইসি বলেছিল, তার অন্যতম হলো, নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ, আচরণবিধি ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া।

তবে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের শক্ত বা নরম অবস্থানের বিষয় নয়। বিষয় হলো সঠিক নির্বাচন। তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চান। তিনি বলেন, নিয়মকানুন সবাইকে মানতে হবে। আচরণবিধি না মানলে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নেবেন। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও আছে কমিশনের। ইসি যে ধরনের বার্তা দিচ্ছে, তাতে সবাই বিধি মেনে চলবেন বলে তাঁরা আশা করছেন।

বর্তমান ইসির আমলে অভিজ্ঞতা

গত বছরের ফেব্রুয়ারির শেষে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। তাদের অধীন প্রথম বড় নির্বাচন ছিল গত জুনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হলেও ভোটের আগে-পরে ছিল নানা বিতর্ক। এ নির্বাচনের প্রচারের সময় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীনকে এলাকা ছাড়তে বলেছিল ইসি। কিন্তু তিনি তা মানেননি, বরং ইসির এখতিয়ার নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরে পিছু হঠে ইসি। এ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শেষ সময়ে এসে প্রায় এক ঘণ্টা ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখা হয়েছিল। মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুলকে হারিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক। ফলাফল ঘোষণার পর মনিরুল হক অভিযোগ তোলেন, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে এ নির্বাচনে হারানো হয়েছে। একই ধরনের অভিযোগ এনেছেন বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

বর্তমান কমিশন বেশির ভাগ নির্বাচন করছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে। কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। এমন একটি নির্বাচন ছিল গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন। সেখানে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইসি নির্বাচনটি বন্ধ করে দেয়। এটি ছিল নিকট অতীতে ইসির নেওয়া একটি বড় পদক্ষেপ। পরবর্তী সময়ে ইসি তদন্ত করে ১৩৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে। কিন্তু কোন প্রার্থীর জন্য ভোটে অনিয়ম করা হয়েছিল, ইসির তদন্তে তা উঠে আসেনি। প্রার্থী, স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের ব্যাপারে কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ গাইবান্ধার ওই উপনির্বাচনের দিনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, অনিয়ম দেখে তিনি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।

এ উপনির্বাচনের পর সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কেউ কেউ। এরপর অর্থ সংস্থানের অভাবের কথা বলে ভোটে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা থেকে সরে এসেছে ইসি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে গোপন বুথে অবৈধ ব্যক্তিদের অবস্থান করতে দেখা যায়। গণমাধ্যমে এসব অনিয়মের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ইসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চাপের মুখে ‘নিখোঁজ’ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নৌকার কর্মীদের আধিপত্য, গোপন কক্ষে অবৈধ ব্যক্তির প্রবেশ ও ভোটের বাটন টিপে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ ছিল। কোনো কোনো কেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবৈধ ব্যক্তি অবস্থান করছেন, গণমাধ্যমে এমন ছবিও এসেছে। তবে ইসি এসব অপরাধে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ যাঁরা এ কাজ করেছেন, তাঁদের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরও শাস্তি পাওয়ার কথা। কারণ, ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সরকার, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সরকার কেমন আচরণ করে তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে নির্বাচন কেমন হবে। ২০১৮ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল নিয়ন্ত্রিত। এবার যেহেতু বিএনপি মাঠে নেই, হয়তো এবার সেটা করার প্রয়োজন হবে না।

নির্বাচন ঘিরে ইসির নানা তৎপরতা থাকলেও বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, গত এক বছরে ইসি কার্যকর ভূমিকা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ দেখাতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করা। কিন্তু কমিশন এটা পরিষ্কার করেনি, তারা কি ওই নির্বাচন স্থগিত করেছিল নাকি বাতিল করেছিল। আর তদন্তের নামে তারা রাঘববোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে চুনোপুঁটিদের দোষী করেছিল। তাই যেভাবে গর্জন হচ্ছে, সেভাবে বর্ষণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

২০১৮ সালের অভিজ্ঞতা

২০১৮ সালে খুলনা, বরিশাল, গাজীপুর, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলোতে পুলিশের ভূমিকাই প্রধান হয়ে উঠেছিল। ইসি তাদের ক্ষমতার প্রয়োগ করেনি। অনিয়মের মুখে বরিশাল সিটি নির্বাচন মাঝপথে বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখনকার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। কিন্তু অন্য কমিশনাররা একমত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ২০১৮ সালের পাঁচ সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা উঠে এসেছে নির্বাচন কমিশনার প্রয়াত মাহবুব তালুকদারের ‘নির্বাচননামা: নির্বাচন কমিশনে আমার দিনগুলো’ বইয়ে। পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে মাহবুব তালুকদার লিখেছেন, ‘সামগ্রিক পর্যালোচনায় আমার কাছে মনে হয়েছে, নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচন কমিশনের হাত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরিত হয়ে গেছে।...ভবিষ্যতে যেসব সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তাতে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বনিয়ন্ত্রণ না থাকলে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথা নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

পাঁচ বছর পর আবার পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এবারও সিটি নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত ইসির হাতে থাকবে কি না, এ প্রশ্নেই এখন মূল আলোচনা। নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি এই সিটি নির্বাচনে মানুষের আস্থা ফেরানোর তাগিদ অনুভব করবে বলে তাঁরা প্রত্যাশা করেন।