দলীয় সিদ্ধান্তে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা, বললেন জি এম সিরাজ

জি এম সিরাজ
ফাইল ছবি

বগুড়া-৬ আসন থেকে সদ্য পদত্যাগ করা জি এম সিরাজ বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁরা স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা ৫ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। বাকি দুইজন পরে এসে জমা দেবেন। আমরা যে পাঁচজন পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি তাদের এই মুহুর্ত থেকে পদত্যাগপত্র গ্রহণ হয়ে গেল। আমরা এখন থেকে আর সংসদ সদস্য নই। স্পিকার গ্রহণ করেছেন। বাদ বাকি পদক্ষেপ উনি জাতিকে, গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবেন।

আজ রোববার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপি দলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য। স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরই স্পিকারের কক্ষের বাইরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জি এম সিরাজ।

আরও পড়ুন

জি এম সিরাজ আরও বলেন, ‘আমরা যা কিছু করলাম বা করেছি সবই দলের সিদ্ধান্ত। আমরা লাখো মানুষের সামনে আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছি।

স্পিকারের ব্যক্তিত্ব নিয়ে প্রশংসা করে জি এম সিরাজ বলেন, ‘স্পিকার ভদ্র মানুষ। এ রকম একজন মানুষের কাছে পদত্যাগপত্র দিতে পেরেছি। আমাদের ভালোই লাগল। আমরা চা-কফি খেলাম, আপেল, কাজু বাদাম ও সন্দেশ খেয়েছি, গল্পগুজব করলাম।’

আরও পড়ুন

স্পিকারের কাছে সশরীর পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকায় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সশরীর পদত্যাগপত্র দেননি। এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে।

আরও পড়ুন

গতকাল শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করে। সেখানে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ওই গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এরপরই আজ সকালে সশরীর স্পিকারের কাছে গিয়ে নিজেদের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনসহ ৩৫০টি আসনের মধ্যে বিএনপির সংসদ সদস্য রয়েছেন ৭ জন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে দলটির সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ নিয়ে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

বগুড়া–৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ছাড়া বাকি পাঁচজন তখন শপথ নেন। নির্ধারিত সময়ে শপথ না নেওয়ায় মির্জা ফখরুলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। সেখানে নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ।