সাবেক বিডিআরের ডিজি জেনারেল শাকিলের ছেলে রাকিন ঢাকায় প্রার্থী হতে চান

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চান রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া। তিনি পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে।

রাকিন আহমেদ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে মনোনয়ন চাইছেন। ইতিমধ্যে প্রার্থিতা জানান দিতে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারপত্র ও পোস্টারও টাঙিয়েছেন রাকিন।

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দলের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শাখার সদস্যসচিব। তিনি পেশায় একজন তরুণ আইনজীবী। যুক্তরাজ্যের হার্ট ফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ল-এর ওপর এলএলবি-এলএলএম করেছেন রাকিন।

রাকিন সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি পরিচয়ে মো. শিবলী আহমেদের নামে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহত মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের একমাত্র ছেলে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞে তাঁর বাবা শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সে ঘটনায় রাকিন আহমেদের মা নাজনীন আহমেদকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় বাহিনীটি বিডিআর নামে পরিচিত ছিল। পরে নাম পাল্টিয়ে করা হয়েছে বিজিবি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে রাকিন তাঁর বাবা প্রয়াত মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের আত্মত্যাগ ও সামরিক বাহিনীতে বাবার অনেক বীরত্ব ও সম্মাননা প্রাপ্তির ঘটনা উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি একজন সেনাসন্তান। ক্যান্টনমেন্টেই আমি বড় হয়েছি। একজন শহীদ সেনা পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও একসময় আমাকে এই ঢাকা-১৭ আসনের অলিতে গলিতে ঘুপচিঘরে ঘুমাতে হয়েছে, অনাহারে–অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। প্রয়াত শহীদ পিতার আদর্শ বুকে নিয়ে আমি এই এলাকার জন্য কিছু করতে চাই।’

আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হবে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকাসহ উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড নিয়ে আসনটি গঠিত। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা গেলে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।

এই আসনে জাপা থেকে সাবেক মহাসচিব ও বর্তমানে কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল হাওলাদার ও অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান (টেপা) মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে দলে আলোচনা আছে। যদিও জাপা এখনো মনোনয়ন কার্যক্রম শুরু করেনি। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে দেশের বাইরে গেছেন। ৯ জুন তিনি দেশে ফেরার পর দলীয় ফরম বিক্রি হবে।

এ বি এম রুহুল হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের অনেকে আমাকে প্রার্থী হতে বলছেন। আমি এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’