লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ

আজ শুক্রবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন মিরপুর শাখার উদ্যোগে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ হয়ছবি: প্রথম আলো

বিদ্যুৎ খাতে চুরি–দুর্নীতি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হারিকেন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন মিরপুর শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিরপুর ১২ নম্বরে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম-লুটপাট-দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং দেশীয় উত্তোলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির পর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মিরপুর জোনের আহ্বায়ক মাহবুব রতন। বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলিফ দেওয়ান, সৈকত মল্লিক প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ছাত্র ফেডারেশন মিরপুর অঞ্চলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাকিল হোসেন।

সমাবেশে মনির উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে এই সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের সংকট ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে লুটপাটের আয়োজন গড়ে তোলে। দ্রুত সমাধানের আওতায় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হলো, যা ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলার কথা ছিল। কিন্তু এই সরকার এখন ২০২২ সাল পর্যন্ত এগুলো চালাচ্ছে এবং লুটপাটের লক্ষ্যে আবারও নবায়ন করেছে। তাদের বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গত ১২ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে এবং লুট করা হয়েছে।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও শ্রমিকনেতা বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, লুটপাটের সুযোগ তৈরির জন্য পুরো বিদ্যুৎ খাতকে আমদানিনির্ভর করে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতকে অনিরাপদ করার সঙ্গে সঙ্গে শিল্প, কৃষি ও পুরো অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সরকার চুরি, দুর্নীতি ও লুটপাট করে পুরো রিজার্ভ খালি করে ফেলেছে। এখন তেল-গ্যাস-ফর্নেস অয়েল আমদানি করে এর ব্যয় মেটানোর সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে তারা।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক রায় বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জোর ও ভয়াবহ প্রতারণা করে ক্ষমতায় আসীন এই সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। এদের না সরালে জনগণের দুর্ভোগ কমবে না। সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে বৃহৎ আন্দোলনে যোগ দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মিরপুর জোনের আহ্বায়ক মাহবুব রতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দায় মুক্তি আইন বাতিল করে স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করে বিদ্যুৎ খাতে চুরি–দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করতে হবে। তিনি ১০ আগস্ট গণসংহতি আন্দোলনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।