মানুষ শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে পারলে ফলাফল মেনে নেব: শাহনুর ইসলাম

শাহনুর ইসলাম
প্রথম আলো ফাইল ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী শাহনুর ইসলাম নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। মানুষ শেষ সময় পর্যন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে যে ফলই আসুক, তা মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল কেন্দ্রে শাহনুর ইসলাম ভোট দিতে যান। তাঁর বাড়ি নগরের টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকায়।

ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্র থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের শাহনুর বলেন, ‘আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকব। তবে যদি এবার ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি না হয় বা মানুষ শেষ সময় পর্যন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন, তবে যে ফলই আসুক, তা মেনে নেব।’

শাহনুর বলেন, আজকের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত (৯টা ৩০ মিনিট) ভোটকেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ মোটামুটি স্বাভাবিক। মোটামুটি সুষ্ঠু মনে হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যাক, কী হয়।

অনেক ভোটকেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট ঢুকতে পারছেন না অভিযোগ করে শাহনুর ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রের সামনেই আওয়ামী লীগের লোকজন অবস্থান করছেন। তাঁরা আমার কর্মী–সমর্থক বা এজেন্টদের দেখলেই নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এসব কারণে আমার অনেক এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন হাসান উদ্দিন সরকার। তাঁকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। শাহনুর ইসলামের বাবা নুরুল ইসলাম সরকারও বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুব ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক। নুরুল ইসলাম বর্তমানে টঙ্গীর আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় কারাগারে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে।

মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি। আর ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি। ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল আটটায়, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।