আগামীকাল গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ

গণ অধিকার পরিষদ

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গণ অধিকার পরিষদ। এটি গণ অধিকার পরিষদের নিজস্ব কর্মসূচি। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সব দলের যুগপৎ আন্দোলনের কোনো অংশ নয়।

গত ৩০ জানুয়ারি সরকার বিদ্যুতের দাম খুচরায় ৫ শতাংশ এবং পাইকারিতে ৮ শতাংশ বাড়ায়। নতুন দাম কার্যকর হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। সেদিন থেকে গ্যাসের নতুন দরও কার্যকর হয়েছে। গ্যাসের দাম ৮২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল গত ১৮ জানুয়ারি। এর আগে ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস অবস্থা। মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ করবে গণ অধিকার পরিষদ। ৪৯টি জেলায় গণ অধিকার পরিষদের কমিটি রয়েছে। এসব জেলায় সমাবেশ করা হবে। যেসব জেলায় কমিটি নেই, সেখানেও গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ হবে।  

মানুষ এখন বিদ্যুৎ পেলেও দাম দিতে হচ্ছে চড়া। গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে পাইকারিতে ১১ বার এবং খুচরায় ১২ বার। এবার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ বিল যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে উৎপাদন খরচ, যা পরোক্ষভাবে মানুষের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।

বিপুল ভর্তুকি কমাতে সরকার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এখন দফায় দফায় বাড়াচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাসে মাসে দর সমন্বয় হতে পারে। দাম বাড়াতে এখন আর গণশুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম।