মানুষের ক্ষোভ দমনে ভয়ের রাজত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) জাতীয় পরিষদ সভায় দলের রাজনৈতিক প্রতিবেদন ও করণীয় বিষয়ক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। শুক্রবার, ঢাকার পুরানা পল্টনে সিপিবি কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

মানুষের ক্ষোভ দমনে ভয়ের রাজত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি বলছে, মুক্তবাজারের নামে লুটপাটের অর্থনীতির ধারায় চলমান সরকারের নীতি এসব সংকট বাড়িয়ে তুলছে। সরকার মানুষকে মুক্তির পথ তো দূরে থাক, স্বস্তির পথ দেখতে পারছে না। এই ধারা চলতে থাকলে সংকট আরও তীব্র হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সিপিবির জাতীয় পরিষদ সভা হয়। সেখানে বক্তারা এসব কথা বলেন বলে দলটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সভায় আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে দেশে সাধারণ মানুষের সংকট চলছে।

সিপিবির জাতীয় পরিষদ সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীনেরা মানুষের সংকট লাঘবে নতুন করে বিশেষ কোনো ভূমিকা না নিয়ে মানুষকে উপহাস করে চলেছে। সবকিছুতে দাম বাড়ানোকেই যেন করণীয় হিসেবে ঠিক করে বাস্তবায়ন করছে।

বক্তারা বলেন, সর্বশেষ ইউরিয়া সারের মূল্য ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি, ওষুধ, নিত্যপণ্য, গ্যাস, পানি, সাবান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পরও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারাসহ এমন কোনো পণ্য বা সেবাধর্মী বিষয় পাওয়া যাবে না, যার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষের আয় কমলেও জীবনযাত্রার ব্যয় অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, করোনাকালে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষের আয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অভিঘাতে দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি ও সারের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে নতুন করে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে।

সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের রাজনৈতিক প্রতিবেদন ও করণীয় বিষয়ক প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্টির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সহিদুল্লাহ চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। আলোচনায় অংশ নেন আবদুস সামাদ মিয়া, নূরে আলম, আফতাব হোসেন, আবু সায়েম প্রমুখ।