১২–দলীয় জোটের ইফতারে বিএনপি–জামায়াতের নেতারা

রাজনীতিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে সোমবার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের একটি রেস্টুরেন্টে ১২-দলীয় জোটের এক ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানছবি সংগৃহীত

ঢাকায় ১২–দলীয় জোটের এক ইফতারে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশ নিয়েছেন। জামায়াতের আমিরসহ বিরোধী অন্য দলগুলোর নেতারাও যোগ দেন এই ইফতার অনুষ্ঠানে। আজ সোমবার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে রাজধানীর মালিবাগের একটি রেস্তোরাঁয় ১২-দলীয় জোট এই ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ইফতারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ছাড়া অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এই ইফতারে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২-দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও ১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাও বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম।

জামায়াতের আমির বলেছেন, বিগত আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিলেন। একটি ‘সশস্ত্র সিন্ডিকেট আর সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে নিরীহ জনগণের প্রতিবাদ এর চেয়ে বেশি আর কী হবে। দেশের জনগণ সঠিকভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। এ আন্দোলনে বিরোধী দলের পরাজয় হয়নি। যারা জনগণের ভোট ছিনতাই করেছে, সংসদ ছিনতাই করেছে, পরাজয় তাদের হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক ৭ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, তা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ৭ জানুয়ারিতে হারিনি। এ দেশের জনগণ আমাদের যে সমর্থন দিয়েছেন, তা বিশ্বের কোথাও হয়েছে কি না আমার জানা নেই।’

ইফতারে অন্যান্য দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাগপার (একাংশ) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ অধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, আরেকাংশের আহ্বায়ক মশিউজ্জামান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।