অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত ভাইসরয় নয়: হুইপ স্বপন

হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন
ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের উদ্দেশে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, ‘সাদা চামড়ার যাকে তাকে দেখলে ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন নিয়ে দৌড়াবেন না। তাদের কথাগুলো লিখে তাদের মহামানব বানানোর চেষ্টা করবেন না। অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ভাইসরয় নয়। বাংলাদেশের গভর্নর জেনারেল নয়। সেদিন বাঘে খেয়েছে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটির (নাগরিক সমাজের) একটি অংশ শেখ হাসিনাবিহীন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, এমন মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য। সিভিল সোসাইটির ওই অংশ বাজেট নিয়ে নানা নেতিবাচক কথা বলে উপহাস করার চেষ্টা করে বলেও দাবি করেন তিনি।

আলোচনায় বিএনপির উদ্দেশে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, তারা নির্বাচনে আসবে না। তারা সরকারের পদত্যাগের কথা বলছে। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না।

বিএনপির সমালোচনা করে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক বলেন, পালানোর অভ্যাস আওয়ামী লীগের নেই।

অন্যদিকে কেউ কেউ গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে এবং অরাজকতা তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমদ বলেন, ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল। এখনো ভিসা নীতি, স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) নামে বাংলাদেশে নজরদারি করতে চাইছে। বাংলাদেশ বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি সব ক্ষেত্রে সজাগ থাকতে সরকারকে পরামর্শ দেন।

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক যাচাই–বাছাই করে দেওয়া হলে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তক্ষরণ হবে না।

আওয়ামী লীগের হাঁটু কাপে না, বিএনপির হাঁটু কাপে বলে মন্তব্য করেন সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, দক্ষ মনিটরিং (তদারকি) ব্যবস্থা না থাকায় সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডাল, তেল, রসুন, পেঁয়াজসহ নানা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও দেশে সেভাবে কমছে না। কিন্তু কৃষকেরাও ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। হাত বদলে পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়।