শেখ কামালকে আড়ালে রাখার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে

শেখ কামাল
ফাইল ছবি

‘নতুন প্রজন্মের কাছে শেখ কামালের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। তাঁকে আড়ালে রাখার অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমরা বাহক হিসেবে তাঁর অবদান ছড়িয়ে দিতে চাই।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এভাবেই স্মরণ করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্রকে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সভার আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, শেখ কামালের বহু প্রতিভা ছিল। তিনি কখনো নিজের সত্তা থেকে বিচ্যুত হননি। ক্রীড়াজগতে তাঁর অবদান ছিল অসাধারণ। ভালো অ্যাথলেট তৈরিতে সহায়তা, প্রশিক্ষণ দেওয়ায় গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

আবদুল মান্নান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সন্তান হিসেবে পরিচয় পাওয়ার পাশাপাশি নিজের একটি পরিচয় তৈরি করেছিলেন শেখ কামাল। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।

শেখ কামালের সহপাঠী নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা যে মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি, তার সব বৈশিষ্ট্য ছিল শেখ কামালের মধ্যে। বন্ধুদের গুরুত্ব দিয়েছেন, এমন হাজারো গল্প আছে আমাদের মধ্যে।’

আরেক সহপাঠী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল মহান মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের নাট্য জাগরণ শুরু করেন। বাংলার যুবসমাজকে ভালো জায়গায় আনতে কাজ শুরু করেন।

বঙ্গবন্ধু পরিবারে কখনো পদের লোভ ছিল না বলে মন্তব্য করেন সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেও এর সভাপতি হননি। ছাত্রলীগের নেতৃত্বের পদেও কখনো আসেননি। মানুষের কাছে অন্যভাবে উপস্থাপিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কামরুল হাসান বলেন, ভালো কর্মী না হলে ভালো নেতা হওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ধারণ করতেন শেখ কামাল।

সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, এখন যাঁরা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত; তাঁদের শেখ কামাল, শেখ জামাল, বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীকে জানানোর সুযোগ রয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন, বই বিতরণ করে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জানাতে হবে সঠিক ইতিহাস।

বাংলাদেশ যে কঠিন সময় অতিক্রম করে এসেছে, তাতে কোনো সংকটে বাংলাদেশের সম্ভাবনা রোধ করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন জ্যেষ্ঠ এই সাংবাদিক।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান বলেন, ‘শেখ কামাল চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি হতে পারতেন। আধুনিক ক্রীড়া অঙ্গনের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজ বাস্তবে রূপ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখনো ষড়যন্ত্র ও গুজব ছড়িয়ে আমাদের মন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।