ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ: হেফাজতে ইসলাম
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেছেন, যুগ যুগ ধরে ইসরায়েলি দখলদারি, গণহত্যা ও বর্বরতাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো প্রমাণ করেছে, তাদের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার কথা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
শনিবার দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে সাজিদুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রতি সংগঠনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের দায়সারা বক্তব্য আমরা মেনে নিতে পারি না।’
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে ইসরায়েলিদের চলে যাওয়া বা বিতাড়ন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। ইনশা আল্লাহ, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ফিলিস্তিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের পতন হবে এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ভাইবোনদের বিজয় অর্জিত হবে।’
বিক্ষোভ শেষে হেফাজতের মহাসচিব ২৮ অক্টোবর ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জাতীয় উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে’ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, সরোয়ার কামাল আজিজি, আহমদ আলী কাসেমী, খুরশেদ আলম কাসেমি, জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।