আ. লীগের অস্ত্র সব ভোঁতা হয়ে গেছে—মির্জা আব্বাস

মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম আর নিজেদের দাবি আদায় করতে শিখে গেছে। এখন আর হামলা-মামলায় কারও কোনো ভয় নেই। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। গণমিছিল শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি ওই স্কুল খুঁজছি, যে স্কুলে ওবায়দুল কাদেরের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) মতো মিথ্যা কথা শিখা যায়।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এই সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই সরকারকে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। গণমানুষের অধিকারের কথা বললেই সরকার টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে, খুন, গুম ও হত্যা করে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে। আমি বলতে চাই, হুমকি-ধমকি দিয়ে ১৫ বছর পার করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন আর কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ এই সরকারকে লাল পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। লাল পতাকা দেখালে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয়। কিন্তু এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তাই এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনার সংবিধান চলবে না। সংবিধানের থাকবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক।

সমাবেশের পর বিকেল চারটার দিকে গণমিছিল শুরু হয়। মিছিল শুরুর সময় গুলশান-১ নম্বর চত্বর থেকে মহাখালীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের একপাশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়ে মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলের অগ্রভাগে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর। এর পেছনে ছিল জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের মিছিল।

পরে বিকেল ৪টা ৪৮ মিনিটের দিকে মিছিলের অগ্রভাগ মহাখালী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছায়। টার্মিনালের সামনে ইউ টার্নে মিছিল ঘুরে গিয়ে উল্টোদিকের সড়কেও নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। প্রায় মিনিট দশেক পরে গণমিছিলের ট্রাক মঞ্চ মহাখালীতে পৌঁছায়। পরে বিকেল ৫টার দিকে নেতা-কর্মীদের পরবর্তী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এ সময় প্রায় ১৫ মিনিটের মতো মহাখালী টার্মিনালের সামনে সড়কের উভয় পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।