ব্রিকসে সদস্যপদ না পাওয়া লজ্জার: মঈন খান
অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে সদস্যপদ না পাওয়া লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, এই সরকার শুধু অর্থনীতিতে ব্যর্থ নয়, কূটনীতিতেও ব্যর্থ।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ সোমবার সকালে এক আলোচনা সভায় মঈন খান এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম–৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি।
সভায় মঈন খান বলেন, ‘সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে। এই সরকার বড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিল, ব্রিকসের মেম্বার হবে। যারা ব্রিকসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, আমাদের সেই বন্ধুরাষ্ট্র কেন আজকে আমাদের প্রত্যাখ্যান করেছে? বাস্তবতাকে তারা অস্বীকার করতে পারেনি। এই সরকার দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। তারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ফোকলা করে দিয়েছে। এ কারণে কোনো যুক্তিতেই তারা বাংলাদেশকে ব্রিকসের সদস্যপদ দিতে পারেনি—এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যেভাবে বিশ্বপরিমণ্ডল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছি, আমাদের জন্য লজ্জার।’
‘জোর করে কারও কণ্ঠ রোধ করা যায় না’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, একটা আইন ছিল দেশে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট; এর নাম ও খোলস পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইন ব্যবহার করে বিরোধী মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে চায়। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস বলে, মানুষের কণ্ঠ কেউ রোধ করতে পারেনি। মানুষ ন্যায়, সত্য, সুশাসন, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের কথা বলবে, মানবাধিকারের কথা বলবে—এটা কেউ রোধ করতে পারবে না। এই সরকার যে আইন বা নির্দেশ দিক, তা জনগণের আন্দোলনের মুখে কর্পূরের মতো উড়ে যাবে।
সভায় জাতীয়বাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম-৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।