নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার পর থেকেই ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে আলোচনায় বিএনএম। দলে যোগ দিয়েই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন। দলে যোগ দেওয়ার পেছনে কোনো চাপ বা প্রলোভন ছিল কি না?
আবু জাফর: শুরু করেছিলাম আওয়ামী লীগের রাজনীতি দিয়ে। সেখান থেকে বিএনপিতে আসি। আমি আসার আগে ফরিদপুরে এত ভোটের ব্যবধানে কখনো বিএনপি জিততে পারবে, তা কল্পনাও করেনি। তবে বিএনপি মনে করত, আমি মনেপ্রাণে বিএনপি হতে পারিনি। সন্দেহের চোখে দেখত। দলে মর্যাদা-মূল্য ছিল না। একসময় রাজনীতি ছেড়ে দেব ভেবেছিলাম। বিএনএম থেকে প্রস্তাব এল। এই দলে মর্যাদার সঙ্গে রাজনীতি করতে পারব বলে আমার মনে হয়েছে।
আবার সংসদ সদস্য করা হবে—এমন প্রতিশ্রুতি পেয়ে কেউ কেউ বিএনএমে যোগ দিয়েছেন বলে আলোচনা আছে।
আবু জাফর: সরকারের সঙ্গে কোনো আলাপ–সমঝোতা হয়নি। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে—সরকারের দিক থেকে এই আশ্বাস পেয়েছি। নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের যে চাপ, তাতে সরকারকে এবার অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি নির্বাচন করলে সরকার গঠন করতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হতে পারত। তারা হাঁটল ভ্রান্ত পথে, জ্বালাও–পোড়াওয়ের দিকে। আমার এই পথ পছন্দ না।
বিএনপির অনেক নেতা বিএনএম থেকে নির্বাচন করবেন বলে আলোচনা ছিল।
আবু জাফর: সব মিলিয়ে ১৩ জনের মতো সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএমে যোগ দিয়েছেন। যে পথে বিএনপি হাঁটছে, তাতে অনেকেই দলটি ছেড়ে দেবে। একবার বিএনপির বেশ কয়েকজন বলেছিলেন, তাঁরা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করলেও পরে বিএনএমে যোগ দেবেন।
অনেকে বলছেন, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আপনাদের আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে? গুলশানের আলিশান নতুন কার্যালয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আবু জাফর: দলে অনেকেই যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আছেন। মহাখালীর কার্যালয়টি ছোট ছিল। শুভাকাঙ্ক্ষীরাই বড় কার্যালয় নিতে সাহায্য করেছেন। সরকারের দিক থেকে সহযোগিতা নেওয়ার বিষয় এখানে নেই।
বিএনএম খুব বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।
আবু জাফর: প্রায় ৪৮০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল। আমরা চিন্তা করলাম অযথা মনোনয়ন দিয়ে লাভ নেই।
ভোটের মাঠে সরকারি দল আপনাকে ছাড় দেবে কি না। পরিস্থিতি কেমন দেখছেন?
আবু জাফর: আওয়ামী লীগের প্রার্থী আচরণবিধি মানছেন না। মিছিল করছেন, বক্তব্য দিয়ে ভোট চাচ্ছেন। আমার লোকজন নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বলতে পারছি না।