বিএনপির আরও ৭৭ জনের সাজা

সিএমএম আদালত
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক পাঁচ মামলায় আদালতের রায়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর আরও ৭৭ জনের সাজা হয়েছে। দণ্ডিত নেতা–কর্মীদের মধ্যে যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান রয়েছেন।

এ নিয়ে গত সাড়ে ৪ মাসে ৭৮ মামলায় ১ হাজার ২২২ জনের সাজা হয়েছে। দণ্ডিত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ বিএনপির নেতা–কর্মী। এর মধ্যে কয়েকজনের একাধিক মামলায় সাজা হয়েছে।

গতকাল যে পাঁচটি মামলার রায় হয়েছে, সেগুলো ২০১১, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে করা। রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, শাহজাহানপুর, বনানী ও ক্যান্টনমেন্ট থানায় এসব মামলা হয়। পৃথকভাবে করা এসব মামলায় বেআইনি সমাবেশ, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ও হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, আগুন দেওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি মামলার বাদী পুলিশ, একটির বাদী একজন গাড়িচালক।

শাহজাহানপুর থানার মামলাটি হয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে মালিবাগের রেলগেট এলাকা থেকে বিএনপির ৮০ থেকে ৮৫ জন নেতা-কর্মী সরকারবিরোধী মিছিল করেন। এরপর রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ১৩ জন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, শেষ হয় গত ২৯ নভেম্বর। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পাঁচজন পুলিশ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

রায়ে ১২ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়, একজন খালাস পান। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় দেন।

অন্য চার মামলা

২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর তেজগাঁওয়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানসহ ১৪ জনকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস দেওয়া হয়েছে একজনকে। সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় দেন।

বনানী থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মহাখালীতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যানবাহন চলাচলে বাধা দেন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ মামলায় বিএনপি নেতা রফিকুল আলমসহ ২০ জনকে এক বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, খালাস পেয়েছেন একজন। ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় দেন।

মতিঝিল থানার মামলাটি হয় ২০১১ সালের ৪ জুন। এজাহারের তথ্য বলছে, সেদিন কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ এ রায় দেন।

অন্যদিকে ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলাটি হয় ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সেদিন থানার মানিকদী বাজার এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা সরকারবিরোধী মিছিল থেকে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ মামলায় ১৮ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন।