রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান সেতুমন্ত্রীর
রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী, মিতব্যয়ী ও দায়িত্বশীল হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস থাকলে কোনো সংকটই মোকাবিলা করা কঠিন নয়। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাব, আসুন, সবাই দায়িত্বশীল হই। সবাই মিতব্যয়ী ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সংকট একটি বৈশ্বিক সংকট। বাংলাদেশ যাতে এই সংকটের অভিঘাতে জর্জরিত না হয়, সে জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার সামনের সংকট মোকাবিলার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যাঁরা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত, তাঁদের শাসনামলে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণেই দেশের অর্থনৈতিক ভিত অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তাঁদের শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোনো দিন ৫ বিলিয়নের ওপরে ছিল না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুশাসনের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাময়িকী নিউজউইক যখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করে, তখন দেশের একদল হতাশাবাদী ব্যর্থ রাজনীতিক হায় হায় রব তোলেন! তাঁদের মনে রাখা উচিত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে ক্রমাগতভাবে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক উন্নত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন খুলে পাহাড়সমান দুর্নীতি-লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল, দেশের মানুষের কল্যাণে বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্প তাদের গাত্রদাহের সৃষ্টি করবে সেটাই স্বাভাবিক। বিএনপি এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের রাজনীতিতে কখনোই আস্থা রাখেনি। তাদের রাজনৈতিক দর্শনই ছিল লুটপাটতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, গত এক যুগের বেশি সময় শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাহাড়সমান প্রতিবন্ধকতা ও অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শুধু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তা নয়, আজকে দেশের শতকরা ২৯ ভাগ পরিবারের মানুষ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কোনো না কোনো ভাতার আওতাভুক্ত হয়েছে। আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সফল রূপকার শেখ হাসিনা। তাঁর সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বসভায় প্রশংসিত।