গণ অধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিপেটায় আহত ১০

গণ অধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধাছবি: সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের কালো পতাকা মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এমনকি পুলিশের লাঠিপেটায় ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি। পরে মিছিল না করে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় রাজধানীর বিজয়নগরের আল রাজি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের ‘ডামি’ সংসদের অধিবেশনের প্রতিবাদে আজ সংসদ অভিমুখে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি ছিল গণ অধিকার পরিষদের।

গণ অধিকার পরিষদের দাবি, মিছিলের শুরুতেই পুলিশ সদস্যরা বাধা দেন। একপর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। এ সময় নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করা হয়।

পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশের লাঠিপেটায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু  হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতিমা তাসনিম, জসিম উদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারজানা কিবরিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নুসরাত কেয়া, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

পুলিশের বাধা–পরবর্তী সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে হামলা করছে। আমরা চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে মিছিল করতে পারি। এতে হয়তো আমাদের কয়েকজনকে আটক করবে। কিন্তু এতে লাভ কার?’

মিছিল না করে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা
ছবি: সংগৃহীত

‘আজ একটা অবৈধ সংসদ’–এর অধিবেশন বসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সংসদে কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরা অবৈধভাবে সংসদে বসেছে। আজকে এই সরকার দৈত্যদানবের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আর ড. ইউনূসের মতো সম্মানী লোককে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে।’  

দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে পুলিশ উল্টো অবৈধ ক্ষমতা রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। আমাদের আন্দোলন তো পুলিশের বিরুদ্ধে না।’

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খানের সঞ্চালনায় গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ ও ঢাকা বিভাগের নেতারা বক্তব্য দেন।